সৃষ্টির বিবরণ/ ইতিহাস:চর্তুদিকে পাহাড় বেষ্টিত সমতল ভূমি বরইতলী। এই গ্রামের উত্তর পূর্ব প্রামেত্ম পাঁচ শতাধিক পরিবার নিয়ে বরইতলী হিন্দুপাড়া। এই পাড়ায় রয়েছে দুইটি ধর্মীয় প্রতিষ্টান। শ্রী শ্রী হরি মন্দির বর্তমানে শ্রী শ্রী অদ্বৈতমঠ ও মিশন। এবং শ্রী শ্রী কালী মন্দির। এই কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৬০০ খ্রীষ্ঠাব্দের প্রথম দিকে। আজ থেকে প্রায় পাঁচশত বছর পূর্বে ভারতের কৃষ্ণনগরে এক মহামারি (কলেরা) হয়েছিল। সেই মহামারির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অন্যান্য সুন্দর এই বরইতলী গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিল । প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, যোগাযোগ ও সোনাইছড়ির খালের উর্বর পলিগঠিত সমভূমি এবং সামাজিক সম্প্রদায়ের কারণে তাঁদের আর ফিরে যাওয়া হয়নি। সেই কারনে এই এলাকার অধিবাসীকে এখনো কৃষ্ণনগরী সম্প্রদায় বলে ডাকে । এলাকার অধিবাসী ও আশ্রিত পরিবারের সমন্বয়ে শ্রী শ্রী কালীমন্দির নির্মাণ করেন। এলাকার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক মিলেমিশে এই কালীমন্দিরে বিভিন্ন পূজা / পার্বন অত্যমত্ম আড়ম্বরের সাথে উদ্যাপন করেন এবং সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
মন্দির নির্মাণে যাদের অবদান:পাহাড়ের চূড়ায় দৃষ্টিনন্দন এই মন্দির নির্মাণে যারা অবদান রাখেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলো এই এলাকার কৃতি সনতান স্বর্গীয় মাস্টার রাজেন্দ্র লাল দাশ ।পিতা: স্বর্গীয় ঈশান চন্দ্র দাশ,মাতা: শ্রীমতি মুহূরী দাশ। তিনি এই মন্দিরের নামে ৬০ (ষাট) শতকভূমি দান করেন এবং স্বঅর্থায়নে মাটির দেয়াল ও টিনের চাউনি দিয়ে মন্দিরটি পূণ: নির্মাণ করেছিলেন । এবং কালীমন্দিরের সেবক হিসেবে দায়িতব পালন করে জীবনের অবসান ঘটান। মন্দিরের আঙ্গিনায় তাঁর সমাধি । মন্দিরটি এখনো তাঁর স্মৃতির পরিচয় বহন করছে। বিভিন্ন সময়ে পরিচালনা কমিঠির উদ্যোগে মন্দিরের নামে পাশর্ববতী এলাকা থেকে আরো ২৫ শতাধিক জমি ব্যয় করেন এবং আধুনিক মন্দিরটির পূণ: নির্মাণ করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস