Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
মনোমুগ্ধকর গোলাপ বাগান
স্থান
বরইতলী ইউনিয়ন
কিভাবে যাওয়া যায়
চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের বরইতলী ইউনিয়নে প্রবেশ করার সাথে সাথে রাস্তার দুই ধারে প্রচুর গোলাপ বাগান লক্ষ্য করা যাবে। রাস্তার পূর্ব দিকে শুধু গোলাপ আর গোলাপের সমারোহ।
বিস্তারিত

গোলাপের বিবর্তনঃ গোলাপ এমন একটি ফুল যা অতিতের বহু সভ্যতার সঙ্গে নিজেকে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে ফেলেছে। গোলাপের পরিচয় শুধু একটি জনপ্রিয় ফুল হিসেবে নয়, এটি প্রণয়, প্রীতি, সৌন্দর্য ও পরিপূর্ণতার প্রতীক রূপে ধরা হয়। গোলাপ হচ্ছে ফুলের রাণী। চিত্র,স্থাপত্য কিংবা সঙ্গীত শিল্পে আমরা গোলাপের ছবি দেখতে বা তার নাম শুনতে খুবই অভ্যস্ত। শুধু তাই নয় বীর ধর্মের আদব কায়দা গোলাপের একটি বিশেষ স্থান আছে। গোলাপের প্রধান আকর্ষণ তার ফুল। সাদা, গোলাপী, হলুদ, গাঢ় লাল, খয়েরি রংয়ের বর্ণ বৈচিত্র আধুনিক গোলাপের বৈশিষ্ট্য। সুন্দর সুন্দর মিশ্র রংয়ের অনেক নতুন সংকর প্রজাতি তৈরি হচ্ছে। সর্বমোট ১৫০ প্রজাতির মধ্যে অনধিক নয়টি প্রজাতিকে সঙ্করায়নের কাজে লাগানো হয়েছে।

 

বইতলীতে সখের বাগানঃ বরইতলীর একজন বিশিষ্ট গোলাপ রশিক ছিলেন বাবু শ্রী নতুন চন্দ্র দে। তিনি জমিদার ছিলেন। ১৮৯০-১৯০০ সালে বরইতলী নিজ বাড়িতেই বাহারি গোলাপ বাগান তৈরি করে আমাদের মাঝে স্মরনীয় হয়ে আছেন। তাঁর পৌত্র বাবু শ্রী সজল চন্দ দে এর সাথে আলাপ করে জানা গেছে দাদা নতুন চন্দ্র দে নিজেই কলিকাতা ও ঢাকা হতে বিভিন্ন প্রজাতির চারা সংগ্রহ করে বাড়ির আঙ্গিনায় বাগান তৈরি করেছিলেন এবং নিজেই তার পরিচর্যা করতেন। বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে আর এক গোলাপ রশিক বরইতলী ডেপুটি বাড়ির মরহুম মারুফ রব্বান কাদেরী কলিকাতা ও ঢাকা থেকে উন্নত বাহারি রংয়ের গোলাপ চারা সংগ্রহ করে নিজ বাড়িতে আরেকটি সৌখিন বাগান গড়ে তুলেছিলেন।