গোলাপ/গ্যালোডিয়াস ফুলের স্থির চিত্র
গোলাপঃ গোলাপ এমন একটি ফুল যা অতিতের বহু সভ্যতার সঙ্গে নিজেকে নিবীড় ভাবে জড়িয়ে ফেলেছে। গোলাপের পরিচয় শুধু একটি জনপ্রিয় ফুল হিসেবে নয়, এটি প্রণয় প্রীতি, সৌন্দর্য ও পরিপূর্ণতার প্রতীক রূপে ধরা হয়। গোলাপ হচ্ছে ফুলের রাণী। চিত্র, স্থাপত্য কিংবা সঙ্গীত শিল্পে আমরা গোলাপের ছবি দেখতে বা তার নাম শুনতে খুবই অভ্যস্থ। শুধু তাই নয় বীর ধর্মের আদব কায়দায় গোলাপের একটি বিশেষ স্থান আছে। গোলাপের প্রধান আকর্ষণ তার ফুল। সাদা, গোলাপী, হলুদ, গাঢ় লাল, খয়ারি রংয়ের বর্ণ বৈচিত্র আধুনিক গোলাপের বৈশিষ্ট। সুন্দর সুন্দর মিশ্র রংয়ের অনেক নতুন সংকট প্রজাতি তৈরি হচ্ছে। সর্বমোট ১৫০ প্রজাতির মধ্যে অনধিক নয়টি প্রজাতিকে সঙ্করায়নের কাজে লাগানো হয়েছে। আমরা বাগানে যেসব গোলাপ চাষ করি তা সঙ্করায়নের ফলশ্রুতি। আধুনিক গোলাপের প্রাচীনতম পূর্ব পুরুষ হিসেবে ফরাসি প্রজাতি রোজা-গ্যালিকাকে অনুমান করা হয়। গাঢ় গোলাপী থেকে গাঢ় লাল রংয়ের ফুল দে রোজা গ্যালিকা। খৃষ্ট জন্মের ১২০০ বছর পূর্বে দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের বনাঞ্চলে এই প্রজাতিটি পাওয়া যায়।
ইসলাম ধর্মের বিস্তারের সুবাদে গোলাপ সারা পশ্চিম ইউরূপে ছড়িয়ে পড়ে। পারস্যে গোলাপ সহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক ফূলই আরব বাসীদের দ্বারা অষ্টম শতকে স্পেন ও দশম শতকে ভারতে প্রবেশ করে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে গোলাপের যুগামত্মকারী সঙ্করায়ন ঘটে। তখন সঙ্করায় ও হাইব্রিডের মাধ্যমে গোলাপের অনেক নতুন নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হয়। এদের মধ্যে বসরাই, চায়নাসিস, মস্কটা, নয়শেটি, বারবোঁ, পোর্টল্যান্ড, হাইব্রিড পারপিচ্যুয়েল, লাফ্রান্স, টি-গোলাপ, রোজা ফিটিডা, পলিপমপণ, গ্রান্ডি ফ্লোরা, র্যাম্বলার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। ১৮৪০-১৯০০ সাল পর্যমত্ম এবং এর পরেও এদের বেশ সমাদর ছিল। এই সমসত্ম প্রজাতির সন্ধান মিলে দেশ-বিদেশে বিশিষ্ট গোলাপ রশিকদের বাগানে।
নোট: ব্যাণিজ্যিকভাবে গোলাপ ফুল প্রসারের পাশাপাশি গ্যালোডিয়াস ফুলের উৎপাদন এ ইউনিয়নে বৃদ্ধি পায়।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS